গ্রীসের একটি ছোট দ্বীপের নাম ‘ইকারিয়া দ্বীপ’। ২৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত দ্বীপটি। যেখানে মানুষ দীর্ঘ জীবন লাভ করে। এর কারণ, দ্বীপের পরিবেশ এবং আবহাওয়া। স্তামাতিস মোরাইতিস নামে এক লোক ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ইকারিয়া দ্বীপে এসে দীর্ঘদিন বেঁচেছিলেন। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, তিনি কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
জানা যায়, এ দ্বীপের মানুষের গড় আয়ু ১০০ বছর। তবে ইকারিয়ার বৃদ্ধ বাসিন্দাদের দেখলে অন্যসব বৃদ্ধের সঙ্গে মেলানো যায় না। তারা ১০০ বছরেও লাঠি ভর দিয়ে চলেন না। পাহাড়ি সিঁড়ি ভেঙে একাই উঠে যান গির্জায়। ক্যান্সারের রোগীও এখানে এসে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বিনা চিকিৎসায়।
শুধু তা-ই নয়, এমন অনেক উদাহরণ আছে এ দ্বীপে। এখানকার বাসিন্দারা এখনও ঘড়ির ওপর নির্ভরশীল নন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামতো দোকান খোলেন। লাঞ্চে নিমন্ত্রিত অতিথিরা সকাল ১০টা বা সন্ধ্যা ৬টায় আসেন। এখানে সবাই নিজের ইচ্ছামতো চলেন। তাতে কারো কোনো সমস্যাও হয় না। টাকা-পয়সা নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না। তাই ভীষণ চিন্তামুক্ত থাকেন।
সূত্র জানায়, বেশি বেশি শাক-সবজি, ফল-মূল খান তারা। ফাস্ট ফুড একেবারেই নেই। মাছ-মাংসও পরিমাণে কম খান। মৎস্যজীবী, চাষি, পশুপালন এগুলোই এখানকার মানুষের মূল পেশা। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আলাদা শরীরচর্চা করতে হয় না। তারা স্থানীয় মদ খান। কিন্তু তা দু’গ্লাসের বেশি নয়। রাতে ঘুমনোর আগে একধরনের হার্বাল চা খান। তাদের ঘুমও পর্যাপ্ত হয়।