বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) নবনির্মিত ক্যান্টিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে নবনির্মিত ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন। নতুন ক্যান্টিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে অবস্থিত।
এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাশেদা বেগম দিনা, শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ মো. মামুন কবীর। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। ক্যান্টিন উদ্বোধন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নতুন এই ক্যান্টিনে রয়েছে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন রান্নাঘর, প্রশস্ত বসার জায়গা এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহের নিশ্চয়তা। একসাথে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী সেখানে বসে খেতে পারবেন। ক্যান্টিনের মেনুতে স্থানীয় ও ফাস্টফুডধর্মী বিভিন্ন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বহু বছর পর একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্টিন পেয়ে আমি আনন্দিত। ইউজিসির অর্থায়নে ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে ক্যান্টিনের আশপাশে শেড নির্মাণের মাধ্যমে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা এখান থেকে মানসম্মত সেবা পাবে এবং এটি তাদের সামগ্রিক কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন শিক্ষার্থীদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি স্থান। এতদিন পূর্ণাঙ্গ ক্যান্টিনের অভাবে আমরা একটি বড় ঘাটতি অনুভব করছিলাম। অবশেষে বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে সেই অভাব পূরণ হলো। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই ক্যান্টিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্যান্টিন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, শুরুর দিকে সাধারণত সব ক্যাটারিং সার্ভিসই ভালো থাকে। সময়ের সাথে সাথে সার্ভিসের মান ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। তাছাড়া, খাবারের দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন হিসেবে মূল্য আরও সহনীয় করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
উল্লেখ্য, ক্যান্টিনটি একাডেমিক কার্যদিবসে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।