বুটেক্স প্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) আর্টেক্স ক্লাব আয়োজিত গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা অর্জন করেছে। গত সপ্তাহে (২৮ ও ২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা ও শিল্পদক্ষতার অনন্য প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ৫১তম ব্যাচের আগমন উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতির চিত্রের মাধ্যমে তাদের নিজেদের বিভাগের মূল ভাবকে তুলে ধরেন।
প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে জুনিয়র ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। ছুটির দিনগুলিতে কাজের পাশাপাশি প্রয়োজনে একাডেমিক দিনেও ক্লাস শেষে তারা গ্রাফিতির কাজ করেন। জুনিয়র ব্যাচকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন অন্যান্য সিনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
গ্রাফিতি অঙ্কন শেষে আর্টেক্স ক্লাব তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সকল বিভাগের গ্রাফিতির ছবি পোস্ট করে। প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন করা হয় দুটি উপায়ে—ফেসবুক পোস্টের এনগেজমেন্টের মাধ্যমে ৩০% এবং বিচারকদের রায় অনুযায়ী ৭০% নম্বর প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত “অভ্যর্থনায় আলোড়ন ৩.০” অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের লিডার ও কো-লিডাররা।
বিচারকরা মার্কিংয়ের ভিত্তিতে তিনটি বিভাগের গ্রাফিতি বেছে নেন। সেগুলো হলো—ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গ্রাফিতি। সেখান থেকে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গ্রাফিতি সেরা বলে বিবেচিত হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারকদের বিশেষ মনোযোগ কাড়ে ইয়ার্ন বিভাগের শিল্পকর্ম, যা নিখুঁত কারুকাজ এবং বিষয়বস্তুর গভীরতায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়।
বুটেক্স আর্টেক্স ক্লাবের লিডার হিমু চৌধুরী জানান, “এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে উৎসাহ দিতে চাই। এবারের আয়োজন ছিল অসাধারণ এবং ইয়ার্ন বিভাগের কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।”
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পর ইয়ার্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। ইয়ার্ন বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জেহসান হায়দার চৌধুরী নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত। সিনিয়রদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আশা করি ভবিষ্যতেও ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তাদের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিবে।”
গ্রাফিতিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কটন ল্যাবের সামনে হাঁটার রাস্তায় আঁকা হয়। অন্যান্য বিভাগগুলোর মধ্যেও ছিল প্রশংসনীয় অংশগ্রহণ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পচর্চার ইতিবাচক ধারাকে আরও শক্তিশালী করেছে।