বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নতুনভাবে চালু হয়েছে বুটেক্স এনভায়রনমেন্টাল ক্লাব। গত ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) এই ক্লাবটি ২০২৪-২৫ সালের জন্য প্রথমবারের মত কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করে। এতে সভাপতি হিসেবে মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. তানহা উদ্দিন খান আদিব মনোনীত হয়েছেন।
আমাদের বিডিএন ৭১ ইউটিউব ঘুরে আসুন।
‘Sustain the Earth, Secure the Future’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করা এই ক্লাবটির লক্ষ্য হলো টেক্সটাইলের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক তৈরি এবং টেক্সটাইলের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সতর্ক ও সচেতন করে তোলা। পাশাপাশি বস্ত্রপ্রকৌশলের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম যেমন সবুজ কারখানা, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, বৃত্তাকার অর্থনীতি ও উৎপাদন, পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করতে ও টেক্সটাইল সেক্টরে এসব অনুশীলন শুরু করতে কাজ করে যাবে এই ক্লাবটি।
ক্লাব নিয়ে জানতে চাইলে ক্লাবের নবনিযুক্ত সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, এই ক্লাব টেক্সটাইল সেক্টরে সর্বদা টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণের অঙ্গীকারে ভূমিকা পালন করে যাবে। যার জন্য এই ক্লাব ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়োপযোগী সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি আয়োজন করবে যা ভবিষ্যৎ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের এসব নিয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি ও আগ্রহ সৃষ্টি হবে। এই ক্লাব শুধু একটি নির্দিষ্ট বিভাগের জন্য নয় বরং সকল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের পরিবেশ ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সম্পর্ক জানাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মো. তানহা উদ্দিন খান আদিব জানান, বুটেক্স এনভায়রনমেন্টাল ক্লাব ২০২০ সালে ‘Today’s illusion, tomorrow’s Vision’ নীতিবাক্য ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল স্বপ্নের শুরু। ২০২৫ সালে আমরা নতুন উদ্যমে এবং একটি নতুন নীতিবাক্য নিয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এই নতুন নীতিবাক্য আমাদের ক্লাবের লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা শুধু বর্তমান পরিবেশ নয় বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত ও টেকসই পৃথিবী তৈরি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এই ক্লাব গবেষণা ভিত্তিক কাজ করবে কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লাবটির মডারেটর মোঃ মোরশেদুল হক বলেন, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাধর্মী কাজ করার মাধ্যমে পূর্ণতা পায়। বর্তমানে আমাদের দেশে ৬০ শতাংশ দূষণ হয় টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি থেকে এবং এই ক্লাবটি সর্বদা টেক্সটাইলের ক্ষতিকর উপাদান থেকে পরিবেশকে সুরক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করবে। মূলত পরিবেশ সুরক্ষিত রেখে এবং অন্যান্য দিক সমন্বয় করে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিকে কিভাবে টেকসই করা যায় এটাই থাকবে এই ক্লাবের মূখ্য উদ্দেশ্য।
ক্লাবের রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি জানান, ক্লাবের গঠনতন্ত্র রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী।
এই ক্লাব নিয়ে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং তাঁরা ক্লাবটি থেকে ভবিষ্যতে ভালো কিছু আশা করছেন। গতবারের মত এইবার নতুনভাবে চালু হওয়া ক্লাবটি অদূর ভবিষ্যতে নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে না বলেও আশাবাদী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্লাবের নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের সমর্থন চেয়েছেন যাতে সকলে একসাথে কাজ করে টেক্সটাইল শিল্পকে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই করে তোলা যায়।