রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রেজাল্ট টেম্পারিং, যৌন হয়রানি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কুশপুত্তলিকায় জুতার মালা পড়িয়ে দাহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্ত্বরে আয়োজিত গণজমায়েতে দোষীদের কুশপুত্তলিকায় প্রতীকী জুতার মালা পরানো হয়।
সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ড. মোঃ রশীদুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ভাইরাল হয় বেশ কয়েকটি অডিও কলের রেকর্ড ও মেসেঞ্জারের ইনবক্সের কিছু মেসেজের স্ক্রিনশট। এ ছাড়া, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় কম মার্ক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আয়োজক শিক্ষার্থীরা জানান, এসব গুরুতর অভিযোগ বারবার উত্থাপিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। অভিযোগ দেওয়ার পরেও প্রশাসন প্রায় নীরব ভূমিকাই পালন করছে।
এ সময়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আশিকুর রহমান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের জন্য সেল গঠনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা চাই, সেখানে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিতে পারবেন এবং প্রশাসন অভিযোগকারীদের নাম-পরিচয় গোপন রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও আমাদের জানানো হয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই, তদন্ত কমিটি যদি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তবে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও মাঠে নামতে প্রস্তুত আছি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাঁরা শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন। কিন্তু আমাদের লিখিতভাবে জানাচ্ছেন না। আমাদের জানালে পরবর্তীতে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব। আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে সশরীরে নামসহ অভিযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে আমরা তাদের পরিচয় গোপন রাখব।