রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নামফলক উপড়ে ফেলেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ভাঙচুর করে।
বুধবার পতিত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা লাইভে বক্রব্য রাখার ঘোষণা আসার পরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম এবং সারাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলার ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এরই অংশ হিসেবে বেরোবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে ছাত্রজনতা। এরপর সেখানে জুতা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। পাশাপাশি পুরুষদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং নারীদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়, শিক্ষার্থীরা বাঁশ, রড, লাঠি প্রভৃতি ব্যবহর করেন। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি। এ ছাড়া, ভাঙা হয় শেখ হাসিনার নামাঙ্কিত বেরোবির নামফলকও।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক রহমত আলী বলেন, “ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশব্যাপী যে ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রেখে গেছেন, আমরা তা নিশ্চিহ্ন করতে আজ এখানে একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।”
বেরোবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাবীব বলেন, সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। এরপরও সে দুঃসাহসিকভাবে ভাষণ দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ইতিমধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। আমরাও তাই ক্যাম্পাস থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি।