বেহাল দশা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ব্যায়ামাগারটি। প্রশিক্ষক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় ব্যায়ামাগারটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, দ্রুত নির্দিষ্ট জায়গা বন্টন, প্রশিক্ষক নিয়োগ ও উন্নত যন্ত্রপাতি ক্রয় করলে আবারো শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ ফিরতে পারে ব্যায়ামাগারটি নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন একটি কক্ষে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যায়ামাগারটি চালু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। উদ্বোধনের পর রাতারাতি বেদখল হয়ে যায় ব্যায়ামাগারটি। নামে ব্যায়ামাগার থাকলেও কক্ষটির চাবি থাকতো তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের কাছে। ফলে ব্যায়ামাগারটি এক সময় পরিণত নয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয় তথা টর্চারসেলে। বিচারের নামে করে নানা সময় শিক্ষার্থীদের ধরে এনে এই ব্যায়ামাগারটিতে মারধর করতো তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ ও তাদের অনুসারীরা।
২০২১ সালের শেষের দিকে তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দোতলার কমন স্পেসে স্থানান্তর করা হয় ব্যায়ামাগারটি। কমন স্পেসে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে মানুষের অবাধ যাতায়াত থাকে, ফলে নারী শিক্ষার্থীরা কখনোই এটি ব্যবহার করার সুযোগ পাননি। অন্যদিকে, পুরুষ শিক্ষার্থীরা ব্যায়াম করার সময় ক্যাফেটেরিয়ার দোতলায় নারী শিক্ষার্থীরা সাংগঠনিক কাজে এলে উভয়পক্ষই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
এছাড়া ব্যায়ামাগারে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা, প্রশিক্ষক না থাকা, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় ব্যায়ামাগারটি শুধু নাম নিয়েই পড়ে আছে। এছাড়া যেসব যন্ত্রপাতি কেন হয়েছিল সেসব যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে ব্যবহার না করায় সেগুলোও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল হোসেন বলেন, ‘আমি নিয়মিত জিমে যেতাম। কিন্তু এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। অনেক উপরকণই নষ্ট, আবার কোন প্রশিক্ষক নাই। অনেকসময় জিম বন্ধ থাকে। আলাদা কোন কক্ষ না থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।আমি চাই, দ্রুত জিমের দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।’