চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটায় নগরীর প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেন, তিন নেতার নেতৃত্বে তাঁদের অবরুদ্ধ করা হয় এবং শারীরিক হামলা চালানো হয়।
রাসেল আহমেদ জানান, বিকেলে “জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র” প্রচারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসে আলোচনা চলছিল। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমান সেখানে এসে সংগঠনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রিজাউরের সঙ্গে থাকা সাদিক আরমানসহ অন্যরা তাঁদের অবরুদ্ধ করেন এবং মারধর করেন, যার ফলে সাতজন আহত হন। তিনি আরও বলেন, অফিসকক্ষ ভাঙচুরও করা হয়।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক তানভীর শরিফ অভিযোগ করেন, যেসব জায়গায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেখানেই আঘাত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমান। তাঁদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। রাসেল আহমেদের সমর্থকরা রাফি ও রিজাউরকে ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন, পাল্টা স্লোগান দেন রাফি-রিজাউরের সমর্থকেরা। একপর্যায়ে রাসেল আহমেদ সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে চলে যান।
পরে রাফি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে রাসেল আহমেদ ও তাঁর সমর্থকেরা ফিরে এসে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন। উত্তেজনা চলতে থাকায় উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই হল ত্যাগ করেন।
রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং সহযোদ্ধাদের ডেকে নিয়ে আসার পর আমরা বের হতে পেরেছি। এর পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে এবং অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘সাধারণ আলোচনার সময় কিছু তর্ক হয়েছিল, তবে কারও সঙ্গে খারাপ কিছু হয়নি।’ অন্যদিকে, রিজাউর রহমান পাল্টা অভিযোগ করেন যে তাঁদের চারজনকে মারধর করা হয়েছে।