জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশের পথনকশা তৈরির গুরুদায়িত্ব জাতি তাদের ওপর অর্পণ করেছে। এ কাজে ব্যর্থ হলে জাতি ক্ষমা করবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে এখানে পৌঁছেছি। নতুন পথনকশার ভিত্তি হিসেবে ছয়টি কমিশনের সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে। এখন আমাদের করণীয় হলো, এসব সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং বাস্তবায়নের উপযুক্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করা।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠকই যথেষ্ট নয়, বরং আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ধরনের যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন সময়ে পুনরায় আলোচনায় বসার প্রয়োজনীয়তাও তিনি তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার ও দ্রুততম সময়ে নির্বাচন আয়োজনকে লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পাওয়া গেলে এই কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আলী রীয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে একটি সর্বসম্মত সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান কাজ হলো সকল পক্ষকে সম্পৃক্ত করে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা এবং যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই দলিলই হবে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি।”