ভারতীয় বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে পাকিস্তান উচ্চ গতির মিসাইল ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর আলোচিত নারী কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কোরেশি শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন সামরিক বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানাল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে, ভারতের পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে পাকিস্তান। এগুলো হলো- আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড় এবং সিরসা বিমানঘাঁটি। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘রেডিও পাকিস্তান’ ও দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের এই পাল্টা হামলায় ভারতের উল্লিখিত পাঁচটি বিমানঘাঁটি ছাড়ও আরও বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে পাকিস্তান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেহরাঙ্গারিতে আর্টিলারি বন্দুক অবস্থান, জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে অবস্থিত ভারতের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উরি সরবরাহ ডিপো ও কে জি টপ ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স।
এছাড়াও পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতে একসঙ্গে সাইবার হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এদিকে, ভারতের আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ারও দাবি করেছে পাকিস্তান।
রেডিও পাকিস্তান জানায়, পাকিস্তান বিমান বাহিনী জেএফ-১৭ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দিয়ে ভারতের আদমপুরে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানে। এতে ওই সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও বিয়াস অঞ্চলে ভারতের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ফেডারেল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চলমান রয়েছে। এই হামলায় ভারতের উধমপুরের একটি এবং পাঠানকোটের দু’টি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, ডন নিউজ, রেডিও পাকিস্তান