ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ভারতের নদী নিয়ন্ত্রণ ও মরুকরণ নীতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদী আচরণের জবাব দিতে হবে।
সাকি অভিযোগ করে বলেন, ভারত একতরফাভাবে নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের পানিসম্পদ শুষে নিচ্ছে। তিনি বলেন, “বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে তা করতে হবে। কোনো জাতির অধিকার কেড়ে নিয়ে বন্ধুত্ব স্থাপন সম্ভব নয়।”
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “লোকদেখানো ভারতবিরোধিতা করে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধান না এলে আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ভারত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে, তিস্তা চুক্তি আটকে রেখে ফেনী নদী থেকে পানি তুলে নিচ্ছে। তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক নদী চুক্তির সালিসি বিধান ছাড়া কোনো চুক্তিকে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন।
আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাকি বলেন, “জনগণ জানতে চায়, অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি রাষ্ট্রের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তিনি সরকারকে নির্বাচন, বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি না করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা মনির উদ্দীন, বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক কুমার রায়, মনিরুল হুদা, মাহবুব, আলীফ দেওয়ান ও সেলিমুজ্জামান প্রমুখ।