ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ দল। ভারতের দেওয়া ২৯৭ রানের টার্গেটে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ১৬৩ রান তুলতে পারে সফরকারী টাইগাররা। ফলে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজ শেষ করে নাজমুল শান্তরা।
ভারত সফরে যাওয়ার আগে ভালো করার প্রত্যয় নিয়েই দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের যাওয়ার পরই যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় টাইগারদের। প্রথমে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারার পর টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারে টাইগাররা।
বলতে গেলে এদিন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর এক ঝড় বয়ে যায়। সাঞ্জু স্যামসনের ১১১ রানের বিশাল ইনিংস ও ভারতীয় কাপ্তান সুরিয়াকুমার যাদবের ৭৫ রানের ইনিংসে স্বাগতিক ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান। বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক বল করেছেন রিশাদ হোসাইন। ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৬ রান। তানজিম হাসান সাকিবও ছিলেন অনেক খরুচে। ৪ ওভার বল করে তিন উইকেটের বিনিময়ে দিয়েছেন ৬৬ রান।
২৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানের জবাবে ০ শুন্য প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসাইন ইমন। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ফেরেন দলীয় ৫৯ রানে। পাওয়াপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়েও রানের চাকা সচল রাখেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন কুমার দাস। এই দুইজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে চতুর্থ উইকেটে পার্টনারশিপ হয় ৫৩ রানের। এরপর লিটন আউট হয়ে খেই হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।
পরে আর আশানুরূপ কিছু প্রদর্শন করতে পারেননি কোনো ব্যাটারই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তাওহীদ হৃদয়। ৪২ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারের বিনিময়ে নিজের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ৮ চারে ২৫ বলে ৪২ রান করেন এই ব্যাটার।