কৃষিপণ্যের ন্যুনতম মূল্য (এমএসপি) নির্ধারণের দাবিতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি অভিমুখে লংমার্চরত কৃষকদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। লংমার্চ ঠেকাতে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
তাতেও সফল না হওয়ায় কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ কৃষক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে জখম হয়েছেন ২ জন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, কৃষিপণ্যের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসেস তথা ন্যুনতম মূল্য নির্ধারণসহ আরও কিছু দাবিতে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ‘দিল্লি চলো’ নামে লংমার্চের ডাক দেয় কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা।
এদিকে কৃষকদের এই অভিযান আটকাতে তৎপর পুলিশও। ন্যাশনাল হাইওয়ে ৪৪ বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হয় জাতীয় সড়ক।
পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে হরিয়ানার অম্বালা থেকে লংমার্চ শুরু করেন কৃষকরা। কিন্তু লংমার্চ পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের শম্ভু পৌঁছাতেই কৃষকদের আটকে দেয় পুলিশ। ফলে সেখানে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৪৪ এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। মুহুর্মুহু টিয়ার গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভ বাতিল করতে বাধ্য করা হয়
সংঘর্ষের পর প্রতিক্রিয়ায় কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে তাদের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করেছে। আমরা বেশ সুশৃঙ্খল ছিলাম এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম। আমরা জানতাম যে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করতে পারব না। তাই আমরা আজকের জন্য বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম উল্লেখ করে এই কৃষক নেতা আরও বলেছেন, ‘মোদিজি আমাদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের ন্যায্যতা দিতে পারেন না। আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, কেন আমাদের সাথে শত্রুতামূলক আচরণ করা হয়?’ পাঞ্জাব ও হরিয়ানার লোকেরাই দেশকে ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচায়।’
আগামী রোববার (৮ ডিসেম্বর) ফের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করেন তিনি। বলেন, কৃষক সংগঠন সম্মিলিত কিষান মোর্চা ও কিষাণ মজদুর মোর্চা রোববার পদযাত্রা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে আলোচনা শুরু করার জন্য একদিন সময় দিচ্ছি।’
বিএন