প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন ভূমিকম্প, ঝড়-তুফান ও বজ্রপাত, মহান আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন। ইসলামে এসব দুর্যোগকে বান্দাদের জন্য পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল্লাহ তাআলা এসব সংকটের মধ্যেও আমাদের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যা কুরআন ও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
রাসূল (সা.) বলেছেন, বিপদ-আপদের সময়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত। তিনি বিশেষভাবে একটি দোয়া পাঠের পরামর্শ দিয়েছেন, যা ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদূররু মাআস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামিই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম।
যখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়, তখন মাটির দিকে তাকিয়ে বারবার পড়া উচিত:
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা শারিকালাহু, ফাবি আইয়্যে আ’লাঈ রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান।
এছাড়া, সংকটময় মুহূর্তে আরও একটি দোয়া পড়তে বলা হয়েছে—
উচ্চারণ: আন্তা ওয়ালিয়্যুনা ফাগফিরলানা ওয়ার হাম্না, ওয়া আন্তা খাইরুল গফিরিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রক্ষক। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের ওপর দয়া করুন। আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল। (সূরা আল-আ’রাফ: ১৫৫)
এছাড়াও, যেকোনো বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির জন্য ‘দোয়া ইউনুস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মহানবী ইউনুস (আ.) এর দোয়া, যা তিনি বিপদের সময় পাঠ করেছিলেন এবং আল্লাহ তা কবুল করেছিলেন।
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ-লিমিন।
অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র, মহান। আমি অবশ্যই অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত।
কোনো দুর্যোগের সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার করা এবং দান-সদকা করাও ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। এসব আমল বান্দার জন্য কল্যাণ ও সুরক্ষা বয়ে আনে।