ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসির মৃত্যু হলো যখন মধ্যপ্রাচ্য তার সংকটময় সময় পার করছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। গত সাত মাস ধরে গাজায় হামাস-ইসরাইল সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে অস্থিরতা ছড়িয়েছে। এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে সরাসরি ছায়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইরান ও ইসরাইল। এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের ভূখণ্ডে সরাসরি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) কমান্ডার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ওই হামলা চালায় তেহরান। পরে সপ্তাহান্তে ইরানের ইসপাহান শহরে মৃদু পাল্টা হামলা চালালেও ইরান ওই হামলাকে তেমন পাত্তা দেয়নি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইরান সরাসরি ইসরাইলের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলায় না জড়ালেও তেহরান সমর্থিত যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও হামাস ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। রইসির মৃত্যুর পরেও ইরানের সঙ্গে ওই যোদ্ধাগোষ্ঠীগুলোর সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।
এ বিষয়ে আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, রইসির মৃত্যুতে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যদিও এভাবে দেশটির প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বড় ধাক্কায় পড়তে পারে ইরান তবে এতে তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের কোনো ফাটল সৃষ্টি হবে না, কারণ রইসি ইরানের ডিসিশন-মেকার পর্যায়ের কেউ ছিলেন না। মূলত ওসব যোদ্ধাগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কাজ করে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড।
রইসির মৃত্যুর পর এখন দেশটিকে এমন একজন নেতাকে খুঁজে বের করতে হবে যিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সহ পুরো মধ্যপ্রচ্যে ইরানের প্রভাব জারি রেখে কাজ করতে সক্ষম হবেন।