মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতময় বছর, ইরান-ইসরায়েলের দ্বন্দ্ব ও সৌদির ভূমিকায় নতুন চ্যালেঞ্জ
২০২৪ সালটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সংঘাত ও অস্থিরতায় পূর্ণ একটি বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড, ইয়েমেন, সৌদি আরব, ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত এবং আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব বিশ্ব রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
বছরের বিভিন্ন সময়ে সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার বেসামরিক নাগরিক। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য স্কুল, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থাপনা ও ঘরবাড়ি।
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কেন্দ্রে ছিল ইসরায়েলের আগ্রাসন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর লড়াই এবং সৌদি-ইরানের প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা।
ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণ চালিয়ে চাপ প্রয়োগ করে।
অন্যদিকে, ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠী হামাস ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ বজায় রেখেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতময় বছর, ইরান-ইসরায়েলের দ্বন্দ্ব ও সৌদির ভূমিকায় নতুন চ্যালেঞ্জ আরো পড়ুন
এ বছরের একটি বড় ঘটনা ছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র চাপের মুখে তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান, যা আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের সমাপ্তি ঘটায়। যদিও আসাদের বিদায়ের পরও সিরিয়ায় সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে।
ইরান এ বছরও হামাস ও হিজবুল্লাহকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইরানের সমর্থনে সৌদি আরবের ওপর হামলা চালিয়ে আঞ্চলিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সৌদি আরব, ইসরায়েল, ইরান এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর ভূমিকাকে নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে। গাজার পুনর্গঠন এবং মানবিক সংকট মোকাবিলায় সময় ও সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।
এই সংঘাত আঞ্চলিক রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী বছর মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
আমাদের বিডিএন ৭১ ইউটিউব ঘুরে আসুন। ইউক্রেনের হাতে আটক উত্তর কোরিয়ার সৈন্য আরো খবর পড়ুন ।
আরএস