মাগুরায় আলোচিত ধর্ষিত শিশুটির মৃত্যুর পর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এশার নামাজের পর তার জানাজা শেষে শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে, ওই রাতে প্রায় পৌনে ৮টার দিকে ক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গুরুতর আহত শিশুটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাকে বাঁচানোর জন্য সর্বাধুনিক চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর আগে শিশুটির তিনবার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায় (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট); দুইবার তাকে স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর সাড়া দেয়নি।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শুক্রবার রাতে শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয় এবং রোববার সেখানে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং সে বৃহস্পতিবার মারা যায়।