বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রস্তাবিত ‘মানবিক করিডর’ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের পরিচালনায় দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে সব ধরনের আলোচনা, চুক্তি ও প্রস্তুতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারক ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য জনমনে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতীয় ঐকমত্য অপরিহার্য।
তারা অভিযোগ করেন, সরকার বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় রাখাইনে একটি তথাকথিত মানবিক করিডর গঠনের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি রাষ্ট্র বা বহুজাতিক কোম্পানিকে যুক্ত করার বিষয়ে নানা আলোচনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করে, এসব পদক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৌশলগত স্বার্থের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। রাখাইন করিডরের নামে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিদেশি হস্তক্ষেপ আঞ্চলিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
তারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে তুলে দিলে বাংলাদেশের স্বাধীন কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ন হবে এবং এটি এক ধরনের আধুনিক উপনিবেশিক আগ্রাসনের পথ খুলে দিতে পারে।
দলটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, এসব বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে স্বচ্ছভাবে আলোচনা করা হোক এবং কোনো ধরনের গোপন সিদ্ধান্ত যেন নেওয়া না হয়। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ও প্রকাশ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।