ঢালিউডের জনপ্রিয় প্রয়াত নায়ক মান্নার মৃত্যবার্ষিকী ছিলো গতকাল। মাত্র ৪৪ বছর বয়সেই ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তবে মান্নার মৃত্যু নিয়ে এখনো দ্বিমত পোষণ করেন তার স্ত্রী শেলী মান্না।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বলেন, “সেদিন মাঝরাতে তার বুকে একটু ব্যথা করছিল। ব্যথা কমছে না বলে, মান্না ভাবল ইউনাইটেড হাসপাতালে যাই। সেখানে যাওয়ার কারণ হলো, পিতামাতা সিনেমার শুটিং ইউনাইটেড হাসপাতালে করা হয়েছিল। তাই তখন তার মনে হয়েছিল, ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়তো বেস্ট।
মান্না নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে যায়। চিকিৎসকদের ভাষ্য, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। যদি কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, সে কোনোভাবেই গাড়ি চালিয়ে যেতে পারবে না। একটা স্টেপও নিতে পারবে না।”
শেলী আরও বলেন, “ইউনাইটেড হাসপাতাল আমাদের যেসব ফুটেজ দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মান্না হেঁটেই হাসপাতালে ঢুকেছে। তার বিভিন্ন টেস্ট করিয়েছে। তারপর ভর্তি হয়েছে। ওই সময় মান্না খুবই স্বাভাবিক মানুষ ছিলেন।
মান্না যখন হাসপাতালে ভর্তি হলো, তখন ভোর পৌনে ৫টা। ট্রিটমেন্ট করে যখন কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেছে তখন ৭টা ৪০-এর দিকে এসকে নামের একটি হার্টের ইনজেকশন দেয় তারা। ওই ইনজেকশন দেওয়ার পরই মান্না গোঙানি দিয়ে বমি করে দেয়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই এসব করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে কি প্রোসিডিউর ছিল না? যে ওই সময় ইমার্জেন্সিতে নিয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা। তারা কিন্তু দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিটের হিসাব দিতে পারেনি। আমরা কেস করেছি, এগুলো পয়েন্ট আছে।”
সবশেষে তিনি বলেন, এই বছরে মান্নার মৃত্যু নিয়ে আদালতে একটা শুনানি হবে। শুনানি হলে হয়তো এক যুগ পরে হলেও ন্যায়বিচার পাবো। মানুষ জানবে যে মান্না কীভাবে মারা গেছেন।