মৌলভীবাজারে চাঞ্চল্যকর সুজন হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ‘মিসকিলিং’-এ নিহত হয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া। মূলত মিসবাহ ভুল ব্যক্তিকে টার্গেট করে খুন করে ভাড়াটিয়া কিলাররা। হত্যাকান্ডের পরিকল্পকারীসহ কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এ এইসব তথ্য জানান মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন । এসময় তিনি জানান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা খালিশপুর এলাকার সামসুল হকের ছেলে নজির মিয়ার সাথে প্রতিবেশি সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। সেই সুত্রে মিসবাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে নজির মিয়া। সে লক্ষণ নাইডুর মাধ্যমে ভাড়াটে খুনিদের সাথে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু খুনিরা মিসবাহর ছবি দেখে ভুল করে সুজন মিয়াকে টার্গেট করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন সদর উপজেলার রঘুনন্দনপুর এলাকার আরিফ মিয়া, দিশালোক গ্রামের হোসাইন আহমদ, রাজনগর উপজেলার মাথিউড়া চা বাগানের লক্ষন নাইডু, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রহিম। ঘটনায় জড়িত কয়েকজন এখনো পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সট- এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার।
উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার সামনে আইনজীবী সুজন মিয়াকে একদল ঘাতক চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়৷ এসময় সুজন মিয়ার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন৷ এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন মিয়া অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন৷