মিয়ানমারের চীন সীমান্তবর্তী লাশিও শহরের একটি প্রধান আঞ্চলিক সামরিক সদর দপ্তর দখল করার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে এমএনডিএএর পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদন মোতাবেক ওই পোস্টের বিবৃতিতে এমএনডিএএ দাবি করেছে, টানা ২৩ দিন ধরে ওই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংগ্রাম করে অবশেষে চীনা সীমান্ত থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার উত্তরের অবস্থিত শান রাজ্যের কৌশলগত শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। তাদের এ দখল নেওয়ার ঘটনাকে জান্তা সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলতে পারে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বিবৃতিতে তাদের এ অর্জনকে ‘বিশাল জয়’ আখ্যা দিয়ে আরও বলেছে, লাশিও শহর এখন পুরোপুরি মুক্ত। এমতাবস্থায় সেখানকার সেখানকার স্থানীয়দের শান্ত থাকতে এবং শহরের প্রশাসনিক নিয়মনীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে মিয়ানমার জান্তা সরকারের মুখপাত্রদের কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, এমএনডিএএ মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের একটি সশস্ত্র সংগঠন। দেশটির সামরিক সরকারকে উৎখাতে দীর্ঘদিন থেকে লড়াই করে আসছে তারা। ফলে গৃহযুদ্ধের আদলের এ সংঘাত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত পাঁচ দশকের শাসনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলমান এই সংঘাতে প্রায় ২৬ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাসস্থান ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।