ঋতুরাজ বসন্তে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) লিচু বাগান ভরে গেছে মুকুলে মুকুলে। বোম্বে, মাদ্রাজ, চায়না, বেদানা জাতের অসংখ্য গাছ রয়েছে এই বাগানটিতে।হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি অনুষদ ভবন সংশ্লিষ্ট লিচু বাগানের প্রতিটি গাছে এবার মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লিচুর ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বাগানটি থেকে।
বসন্তের হাওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে লিচু বাগানে লিচুর মুকুল উঁকি দিচ্ছে। ৮৫ একরের এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য আরো কিছুটা বাড়িয়ে তুলেছে এই লিচু বাগান।বিকেল বেলায় লিচু বাগানের সুশীতল ছায়ায় যে কারোরই বসে থাকতে মন চাইবে।লিচুর মুকুলের সুমিষ্ট ঘ্রাণ আপনার মস্তিষ্কে যোগাবে এক অন্যরকম অনূভুতি!
সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোর মধ্যে হাবিপ্রবির লিচু বাগান সবথেকে বড়। কেনই বা বড় হবে না এই ক্যাম্পাসটির লিচু বাগান? দেশসেরা লিচু জন্মেই তো দিনাজপুরে। দিনাজপুরের লিচুর খ্যাতি রয়েছে পুরো দেশব্যাপী। শুধু দেশ নয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে এ লিচু রপ্তানি হয় বিদেশেও।দিনাজপুরের প্রতিটি অঞ্চলেই চোখে পড়ে লিচু বাগানের আধিক্য। তারই সামান্যতম অংশ হাবিপ্রবির এই লিচু বাগানটি।
প্রতি বছরই বাগানটিতে কমবেশি লিচু জন্মে।বাগানের এই লিচুগুলো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকবৃন্দ,কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং এলাকাবাসী ভক্ষণ করে থাকেন।তবে কিছুটা আক্ষেপের বিষয় হলো লিচু গুলো পরিপক্ব হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলা হয়।যার কারণে ভোক্তারা লিচুর প্রকৃত পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হোন। ভোক্তারা যদি পরিপক্ব হওয়ার পরে এসকল লিচু ভোগ করে তাহলে রসালো,সুমিষ্ট ফলটি সকলের তৃপ্তি নিয়ে আসবে তার নিজ নিয়মে।
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম |হাবিপ্রবি