গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি যুদ্ধ সম্পন্ন হয়েছে আজ। এ ভর্তি যুদ্ধ যতটা না কায়িক তার চেয়ে বেশি মানসিক। কায়িক, মানসিক এ যুদ্ধের রণাঙ্গনে পৌঁছানোর আগেই অসুস্থ হন মাজেদুল নামের এক শিক্ষার্থী। এতে অবশ্য অসুস্থ মাজেদুলের স্বপ্নভঙ্গ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তৎপরতায় স্বপ্নভঙ্গের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে সেন্টারে প্রেরণ করা হয় তাকে এবং সেখানে বসেই অংশগ্রহণ করেন পরিক্ষায়।
মাজেদুল ইসলাম ভূঁইয়া সিফাত, পরিক্ষা দিতে এসেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার আসন ছিল প্রকৌশল এবং আইন অনুষদের ৪০১ নম্বর কক্ষে। নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতেই তড়িঘড়িতে বাঁধে বিপত্তি। পূর্বে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় দৌড়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সাথে সাথেই হয়ে যান অসুস্থ। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। ভেবেছিলেন হয়তো পরিক্ষাই দিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ‘কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। আর আগে থেকে শ্বাসকষ্ট থাকাতে সমস্যা বেশি হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ যে পরিক্ষা দিতে পেরেছি এবং পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে।’
মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহমুদুল হাসান খান জানান, “লেইট হওয়াতে দৌড়ে চার তলায় উঠার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমরা এখানে নিয়ে আসার পর নেবুলাইজ করে দিয়েছি। এখন ভালো আছেন এবং মেডিকেলেই পরীক্ষা দিচ্ছেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষার আহবায়ক ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহম্মদ আহসান উল্যাহ বলেন, ‘ পরিক্ষা শুরু হওয়ার পরপরই তার শ্বাসকষ্টের অসুস্থতা দেখা দেয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি থেকে মেডিক্যাল সেন্টারের বেডে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তার ওএমআর শীট এড করে দিয়েছে। আমরা প্রো ভিসির অনুমতি নিয়ে মেডিক্যালেই তার পরীক্ষা নিয়েছি। গার্ড দিয়েছেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন।।’
রকি উল হাসান
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়