বিশেষ প্রতিনিধি: একদিনে যমুনা ও পদ্মা সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে যমুনা সেতু দিয়ে একই দিনে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৮৫০ টাকা— যা সেতুটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে দেশের দুই বৃহৎ সেতুর পারাপার ও রাজস্ব আয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
এই পরিসংখ্যান শুধু যান চলাচলের বৃদ্ধি নয়, বরং দেশের সড়ক অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় সেতু কর্তৃপক্ষের দক্ষতা, সমন্বয় ও সক্ষমতার সরাসরি প্রতিফলন বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশ্লেষকেরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন চাপ সামলাতে সেতুর টোল ব্যবস্থাপনা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নজরদারির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা এবং জনবলের সক্রিয়তা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে পারাপার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৩১৬টি। সেটিই ছিল দীর্ঘদিনের সর্বোচ্চ। এরপর ২০২৩ সালের ২৭ জুন যমুনা সেতু দিয়ে পার হয় ৫৫ হাজার ৬২১টি যানবাহন। আবার ২০২৪ সালের ১৪ জুন এই সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা, যা ছিল টোল আয়ের দিক থেকে পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে, টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিল ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল, যেদিন পদ্মা সেতু থেকে আদায় হয় ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু এবারের যমুনা সেতু দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার এবং এর বিপরীতে বিপুল রাজস্ব আদায় হওয়ায় সেতু ব্যবস্থাপনায় একটি সফল উদাহরণ হয়ে উঠেছে সেতুটি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের অর্থনৈতিক গতি, পণ্য পরিবহন, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ এবং মানুষের চলাচলের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। সেই চাপ মোকাবেলায় এ ধরনের ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা আগামী দিনে আরও উন্নত অবকাঠামো পরিকল্পনার পথ প্রশস্ত করবে। এই অর্জন শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং দেশের সড়ক ও যোগাযোগ উন্নয়নের গতির প্রতীক।