যশোরে জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, যশোর পৌরসভাসহ অন্তত সাতটি স্থানে ছাত্র-জনতা ভাঙচুর করেছে। এতে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও নামফলক, শহরের বিজয় স্তম্ভের প্রাচীর এবং আরও কিছু সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে। প্রায় ২৫-৩০ জন যুবক মোটরসাইকেলে সেখানে এসে লোহার পাইপ, হাতুড়ি ও শাবল নিয়ে ভাঙচুর চালায়। তারা জেলা পরিষদ চত্বরে শেখ মুজিবের ম্যুরালও ভেঙে ফেলে এবং শহরের পুরোনো কসবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার নামফলকও ভেঙে দেয়।
এরপর তারা শহরের আরও সাত-আটটি স্থানে গিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামফলক ভেঙে দেয়। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ‘বিজয় স্তম্ভে’ থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল এবং সেখানকার নামফলকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “কয়েকটি স্থানে ভাঙচুর হয়েছে বলে শুনেছি। কে বা কারা করেছে সেটা জানা নেই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খানের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।