যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ৩ জনের মরদে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এর মধ্যে দুজনের মরদেহের ওপরে পুলিশের পোশাক দেখা গেছে। আরেকজনের মরদেহের হাতে হাতকড়া পরানো রয়েছে।
মরদেহগুলোর চারপাশে শত শত মানুষের জটলা দেখা গেছে। এবং থানার সামনে থাকা সাত থেকে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেতরেও মানুষজনকে ঢুকতে দেখা গেছে।
‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছিলেন ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায়। এসময় সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকলে একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন এবং তাদের গুলিতে নিহত হন অনেকে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে একসূত্রে জানা যায়, গুলিতে যারা মারা গেছেন তাদের ৩০ জনকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা যাত্রাবাড়ী থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য হতাহত হন। আজ সকালে থানার সামনে এই পরিস্থিতি দেখা যায়।
যাত্রাবাড়ীর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘জোহরের নামাজ আদায়ের পর আমরা সবাই যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ আমাদের ওপর গুলি করতে শুরু করে। আমি অন্তত ১০–১৫ জনকে থানার সামনে মরে পড়ে থাকতে দেখি। পরে যখন গোলাগুলি থামে, তখন থানার সামনে পড়ে থাকা লাশগুলো নিয়ে আসি।’
গতকাল সোমবার দিনভর পুলিশ সদর দপ্তরসহ রাজধানী ঢাকার ১৩টি ও ঢাকার বাইরে ৭টি থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরা ও শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন ও কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আন্দোলনকারীরা পুলিশ সদর দপ্তরের প্রধান ফটক ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর চালান।
পুলিশ সদর দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা এ সময় কার্যালয়ে আটকা পড়েন। পরে অবস্থার উন্নতি হলে তাঁরা পূর্ব দিকের দেয়াল টপকে নগর ভবনের ভেতরে চলে যান। পরে সেখান থেকে বের হয়ে যে যাঁর গন্তব্যে চলে যান।