রাজধানীর বনানীতে এক নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তার সহকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে বনানী ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যা রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও প্রভাব ফেলেছে। রোজার মধ্যে এই তীব্র যানজটে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মিরপুর কাজীপাড়া থেকে বনানীতে অফিসগামী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘সকাল ৮টায় বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। কিন্তু কিছুদূর এসেই দেখি রাস্তা বন্ধ। দুইপাশের যাত্রীরা ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফুটপাতেও অনেক ভিড়। তাই সেখানেও হাঁটতে পারছে না মানুষ। আমি হেঁটেও এখনও অফিসে পৌঁছাতে পারিনি।’
মেরুল বাড্ডা থেকে তেজগাঁও অফিসে যাওয়া রিয়াজ হোসাইন বলেন, ‘অন্যদিন অফিসে যেতে আমার ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে না। কিন্তু আজ মেরুল বাড্ডা, লিংক রোড ধরে অফিসে পৌঁছাতে পুরো ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অন্যদিন হাতিরঝিলে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও আজ এখানেও পয়েন্টে পয়েন্টে তীব্র যানজট, বাইক নিয়ে অফিসে পৌঁছাতে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’
এদিকে রাজধানীর খিলগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মহাখালী, মিরপুর, মগবাজারেও বনানীর যানজটের প্রভাব পড়েছে। অফিসগামী মানুষরা রোজা রেখে যানজটে তীব্র ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, সকাল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, রাজধানীর বনানী এলাকায় চেয়ারম্যানবাড়ি ইউটার্নে ট্রাকচাপায় এক নারী নিহত ও দুজন আহত হন। এই ঘটনায় সকাল থেকে বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কের উভয়পাশ অবরোধ করেন দুটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা।