মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীন বলেছে, তারা যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের পর বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশ বাণিজ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনও দ্রুত মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চীনের দূতাবাস একটি সরকারি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানায়, “যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ চায়— তা শুল্ক যুদ্ধ হোক, বাণিজ্য যুদ্ধ হোক বা অন্য কোনো সংঘাত হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত।”
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এটিই চীনের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কড়া বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। এই কঠোর অবস্থান এমন সময়ে এসেছে যখন বেইজিংয়ে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন চলছে, যেখানে দেশটির শীর্ষ নেতারা একত্র হয়েছেন।
এদিকে বুধবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ঘোষণা করেছেন, চলতি বছরে চীন প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.২ শতাংশ বাড়াবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “বিশ্বব্যাপী এক শতাব্দীতে দেখা যায়নি এমন পরিবর্তন এখন দ্রুত গতিতে ঘটছে।” চীনা প্রতিরক্ষা ব্যয়ের এই বৃদ্ধি পূর্বাভাস অনুযায়ী এসেছে এবং এটি গত বছরের বৃদ্ধির হারকেও প্রতিফলিত করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের নেতারা চীনের জনগণের সামনে আত্মবিশ্বাসী বার্তা দিতে চান যে দেশটির অর্থনীতি উন্নতির পথে রয়েছে, এমনকি বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকির মধ্যেও।
এছাড়া চীন নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। পাশাপাশি, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী করে থাকে।