নাটোরের বড়াইগ্রামে অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে রয়েছেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, তার বাবা মো. জিন্নাহ, নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মো. রুবেল, নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুজন, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আজগর আলী, ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল, শুভ ও জুয়েল রানা। অপর পক্ষের আহতদের মধ্যে আছেন, ছাত্রদল নেতা হৃদয়, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. সানা উল্লাহ, বিএনপি নেতা নাসিম, ডা. মো. সাইদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কয়েন বাজারে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করতে একটি দোকান ভাড়া নেন, কিন্তু এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। এই ঘটনার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে রোববার বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সন্ধ্যার দিকে লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, বিএনপির দুটি পক্ষের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের চিকিৎসা গ্রহণের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।