ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে ‘যাকাত’ অন্যতম। বান্দার বৈধ উপার্জন থেকে একটি ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ’ আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় করার নাম হলো ‘যাকাত’। দৈহিক ইবাদতের মধ্যে যেমন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ, ঠিক তেমনিভাবে আর্থিক ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যাকাত।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদের ৮২টি স্থানে নামাজের সাথে সাথে যাকাতের কথাও বর্ণনা করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা আল কোরআনে এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের বৈধ উপার্জন এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যে শস্য উৎপন্ন করি তা থেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় (যাকাত দাও) কর।’ (সূরা বাকারা ২৬৭ নং আয়াত)
ইসলামে যাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম। যাকাত দিলে সম্পদ কমে যায় না বরং বৃদ্ধি পায়। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে যাকাত একটি ফরজ বিধান তবে এটি সকলের উপর ফরজ নয়।
যাদের উপর যাকাত ফরজ:
১. মুসলিম হতে হবে,
২. স্বাধীন হতে হবে,
৩. বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে,
৪. বালেগ হতে হবে,
৫. নিসাব পরিমান সম্পদ থাকতে হবে,
৬. পূর্ণাঙ্গ মালিকানা থাকতে হবে।
সুতরাং অমুসলিম, পরাধীন ক্রিতদাস, উন্মাদ , অপ্রাপ্তবয়স্ক , নিসাবের চেয়ে কম পরিমাণ সম্পদের অধিকারী হলে তার উপর যাকাত ফরজ নয়।
মাহফুজা শাহানা মাইশা
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ