রাবিপ্রবি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মাহে রমাদান অন্যভাবে পালিত হতে যাচ্ছে। বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় রমাদান বা রোজার মাস একটু ব্যতিক্রম। মাহে রমাদান উপলক্ষ্যে এবার রাবিপ্রবিতে নেয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। বিগত দশ বছরে রাবিপ্রবিতে রমাদান এসেছে আবার গেছে। কিন্তু কোনো বছরই রমাদানের জন্য নেয়া হয়নি আলাদা প্রস্তুতি। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পাল্টে যাওয়া প্রেক্ষাপট ও নতুন প্রশাসনে এবার রাবিপ্রবি নিয়েছে আলাদা পরিকল্পনা।
রাবিপ্রবিতে দীর্ঘ দশ বছর পার হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসের দেখা মেলেনি। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় মসজিদ সহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা গড়ে ওঠেনি। তাই প্রতিবছর রমাদান এলেই শিক্ষার্থীদের নামাযের স্থানের ব্যাপক সংকট দেখা যায়। জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য যথেষ্ট জায়গা না পাওয়ায় অনেকে একাকী নামাজ আদায় করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ ও নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ
আতিয়ার রহমানের পরিকল্পনায় ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা নামাযের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে রাবিপ্রবি উপাচার্য জানান, “কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির উপরের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী নামাযের জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কার্পেট বিছিয়ে বড় পরিসরে সেখানে জামাতে নামাজ পরার সুবিধা থাকবে।”
অন্যদিকে মাহে রমাদান মাসের তাৎপর্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে উপাচার্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের রমাদানের শুভেচ্ছা জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় উপাচার্য বলেন “সব শিক্ষার্থী বন্ধুদের রমাদানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি। দুই হাজার ছাত্রের জীবন, হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ ও তাদের সংগ্রামের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা বাস্তবায়ন করতে এই রমাদান মাসই হোক আমাদের পথ চলার নতুন মাধ্যম। এই পবিত্র মাস আমাদের নতুন উদ্যোমে পথ চলার সুযোগ এনে দিক। আমরা যেন মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আমাদের কাজে ঘটাতে পারি। আমাদের রাবিপ্রবি মাথা উঁচু করে দাঁড়াক এবং সম্মানিত হোক। সবাই যেন নিজেদের জায়গা থেকে উপযুক্ততা অর্জন করে এগিয়ে যায়। আমি আমার শিক্ষার্থীদের কাছে এই আহ্বান জানাই।