দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলাধার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। কাপ্তাই লেকের অববাহিকা ১১,১২২ বর্গকিলোমিটার (৪,২৯৪ বর্গমাইল)। এপ্রিল মাসে কাপ্তাই হ্রদের পানি অনেক বেশি পরিমাণে কমতে থাকে। প্রতি বছরের পহেলা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। চলতি বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমতে থাকায় নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।অল্পপানিতে পানিতে মাছ ধরলে হ্রদের ছোট মাছ ব্যাপকহারে ধরা পড়ে। এতে করে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও উৎপাদনে ভাটা পড়ে।
আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এক বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে হ্রদের মাছ বাজারজাতসহ স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাসসহ স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, গত বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের ১২দিন আগেই বন্ধ করা হয় মাছ আহরণ। আবার তিনমাসের নির্ধারিত সময়ে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়ায় দুই দফায় আরও ১ মাস ১২ দিন বন্ধের সময় বর্ধিত করা হয়। ৪ মাস ১২ দিন মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে ফের মাছ আহরণ শুরু হয়।
মোঃ আয়নুল ইসলাম, রাঙামাটি