রাজবাড়ী ল’ ফোরামের উদ্যোগে চাঁদাবাজি ও কালোবাজারি রুখতে বাজার মনিটরিং ও আইনি সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করেছে সংগঠনটির সদস্যরা।
সোমবার (১২ আগষ্ট) রাজবাড়ী শহরের বড় বাজারের কাঁচা বাজার এলাকায় তারা এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদাবাজি ও কালোবাজারির মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা এবং বাজার ব্যবস্থাপনাকে আইনানুগভাবে পরিচালিত করতে সকল ব্যবসায়ীকে উৎসাহিত করা।
ল” ফোরামের বাজার মনিটরিং টিম বাজারের বিভিন্ন পণ্য, যেমন মাছ, মুরগি, শুঁটকি, সবজি, গরুর মাংসসহ বিভিন্ন দোকানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালায়। সরেজমিনে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ী ও পাইকারদের সথে কথা বলে জানা যায়, কাঁচা বাজারের দামে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিপতি ৫-১০ টাকা কমেছে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা মুরগির বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের ক্রয় এবং বিক্রয়ের হিসাব মিলিয়ে মুরগির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমিয়েছে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ও.এম.এস ডিলারদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পায়। ডিলাররা অবৈধভাবে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ চাল মজুদ করে রেখেছিল। উপস্থিতিতে সকল চাল জনগণের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
একজন ব্যবসায়ী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ল” ফোরামের’র টিমকে জানান, চাঁদার টাকা পরিশোধের কারণে তারা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণামূলক আচরণ করতে বাধ্য হতেন, যেমন ওজনে কম দেওয়া, অতিরিক্ত মূল্য আদায়, পচা পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদি। ল ফোরামের’র আইনি দল বাজারের ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজির বিষয়ে সচেতন করেছে এবং তাদের অধিকার ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে।
এ ধরনের সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযানের ফলে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ হবে ফলে উভয় পক্ষই স্বস্তিতে থাকতে পারবেন ও বাজারে সুশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বাজারের নানা ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা।
ল ফোরামের সভাপতি সাকিব আহমেদ খান জানান আমাদের সদস্যরা দেশের এই সংকটকালীন মুহূর্তে কাজ করে যাবে এবং জনগণের পাশে থাকবে সব সময়।
সিয়াম/আরএ