বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিনোদপুর বাজারে এসে তারা বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হোন ।
এসময় তারা ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘শিবিরের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ ছাত্রলীগ গেলি কই’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়ামী লীগ গেলি কই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে রাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সালের সঞ্চালনায় শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, আমরা আমার ভাইদের হত্যার কোনো প্রতিশোধ নেয়নি কারণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোনো নীতি বা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হোক তা আমরা চাইনা। ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়ে, তাই বলে কি কুকুরকে কামড় দেওয়া মানুষের শোভা পায়’ আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের ভাইদের বিচার বিচারকার্যালে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা নিজ থেকে কোনো প্রতিশোধ নিতে চাইনা৷ আমাদের ২১ জন ভাই শহীদ হয়েছে৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিলো তবুও আমরা চাইনা এই সংস্কৃতি চালু হোক।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় তারা মামলা খারিজ করেছিলো। তারা চায়নি এই জড়িতদের বিচার হোক। আমরা আবারও বিচারের দাবিতে এই সরকারের আমলে পুনরায় মামলা করবো। আমরা নতুন মামলা দিয়ে নোমানী ভাইয়ের হত্যার বিচার নিশ্চিত করবো।
সংগঠনটির সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জঙ্গি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এই দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্যই ভারতের সাথে লিয়াজু করে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে। একটি অকার্যকর রাষ্ট্র ও ভারতের অঙ্গরাজ্য গঠনের জন্যই তারা সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে। দেশকে অকার্যকর করার লক্ষ্যে নোমানীর মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের হত্যা করে৷ আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আমার ভাইদের খুনীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে৷
সমাবেশ শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়