রাবি প্রতিনিধি: গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ পালিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ জুলাই নারীদের আন্দোলনে অবদানকে স্মরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ সোমবার (১৪জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও হল থেকে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট র্যালি নিয়ে প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে সমবেত হন। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অসাধারণ দিক ছিল নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ। বৃদ্ধা মা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা দলমত নির্বিশেষে আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁরা যে অত্যন্ত সাহসী, যোগ্য এবং দেশের জন্য যে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত তা আমরা এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেখিছি। নারীদের এই দৃঢ়তা নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভিত্তি তৈরি করবে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক সানজিদা ঢালি বলেন, একজন নারী ও একজন আন্দোলনকারী হিসেবে দিনটিকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হচ্ছে। আন্দোলনে নারীদের ওপর নির্যাতনের চিত্রই আমাদের সংগ্রামী চেতনা জাগিয়েছিল। মেয়েদের ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে এই দিনটি পালন করায় আমি গর্বিত। বিগত সময়ের তুলনায় গত বছর নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই শিক্ষা জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় গণঅভ্যুত্থান পুর্নজাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ১৪ জুলাইকে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।