সাজানো জঙ্গি নাটকের মাধ্যমে অসংখ্য দেশপ্রেমিক আলিম ও নাগরিকদের গুম,খুন ও হয়রানির মূল কারিগর,পিলখানা ট্রাজেডির খলনায়ক এবং পলাতক সরকারের দোসর আখ্যা দিয়ে প্রথম আলো-ডেইলি স্টারকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ ।
রবিবার ( ১০ নভেম্বর ) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানান তারা।
এসময় তারা “ অ্যাকশন টু অ্যাকশন ;ডাইরেক্ট অ্যাকশন, মুজিববাদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আবু সাইদ-মুগ্ধ;শেষ হয়নি যুদ্ধ, সাইদ-নুর-আসাদ ভাই;ফ্যাসিবাদের জায়গা নেই, জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ;ইনকিলাব জিন্দাবাদ,প্রথম আলো-ডেইলি স্টার,স্বৈরাচারের হাতিয়ার” বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
মানবন্ধনে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ইতিহাস তুলে ধরে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আপনারা যদি প্রথম আলো স্লোগান গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন। সময়ে সময়ে তারা কি সুন্দর করে স্লোগান পরিবর্তন করে। প্রথম আলো তার নাস্তিক্যবাদী চিন্তা-চেতনা, শিক্ষাব্যবস্থা ও সংস্কৃতি সব স্থানে চালু করার জন্য খুব চেষ্টা করেছিল। আপনারা দেখেছেন তারা কিভাবে, পিলখানার হত্যায় বিডিআরদেরকে বিদ্রোহী ঘোষণা করে নিউজ করেছিল। এসব কিছুই স্বৈরাচার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্যই করেছে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রিমন বলেন, আপনারা জানেন আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি দেশের প্রথম সারির দুইটি পত্রিকার বিরুদ্ধে। সেগুলো হলো প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। অনিতিবিলম্বে পত্রিকা দুটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। আপনারা জানেন বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি বাংলাদেশের আপামর জনতার সাথে প্রতারণা করেছে।একের পর এক বানোয়াট মনগড়া সংবাদ দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। সরকারের চাটুকারিতা করতে গিয়ে জনগণকে সত্য নিউজ না জানিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। তারা পিলখানার হত্যা, জঙ্গিবাদকে সাপোর্ট দেওয়া এবং আয়না ঘরের মতো বিষয়গুলো জানার পরও তারা প্রচার করেনি। সংবাদ মাধ্যমের কাজ হচ্ছে সমাজের অসঙ্গতি এবং কুসংস্কার গুলো তুলে ধরা। কিন্তু তারা তা করেনি।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৩০জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।