রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষক রাবির সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনের অপকর্মের নিরপেক্ষ তদন্ত ও অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে ড. সুজন সেনকে চ্যালেঞ্জ করা আবু রায়হান নামের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ড. সুজন সেনের বিভিন্ন অনিয়মের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা তদন্ত কমিটিকে নিরপেক্ষ তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, আপনাদের এ তদন্ত যদি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে এটা কোনভাবেই আমরা মেনে নেব না। আমরা আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আসাদ সাদিক রাফি বলেন, ড. সুজন সেনের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আজকে ১৮ দিন হলো। কিন্তু তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের সাথে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি। আসলে কি তারা এসি রুমে বসে তদন্ত করতাছে? এ ধরনের তদন্ত আমরা মেনে নেব না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নৈতিকতার স্থলন ঘটলে তাকে অপসারণের সুযোগ আছে। আমরা চাই, এই আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।
আসিফা পারভিন পুঁথি বলেন, চারুকলার শিক্ষক হওয়া সত্বেও সুজন সেন কখনো আমাদের পেজগুলিতে একটি পেন্সিলের দাগও দিয়ে দেখায়নি। এখানেই তার যোগ্যতা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ। সে কখনো শিক্ষার্থীদের কথা ভাবেনি বরং সে স্বেচ্ছাচারিতা ও চাটুকারিতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। আমাদের শিক্ষক হিসেবে তার উচিত ছিল আমাদের শিক্ষা দেওয়া। কিন্তু তিনি এতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমন অযোগ্য শিক্ষকের আমরা অপসারণ চাই।
এসময় বিভাগের প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ড. সুজন সেনকে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গত মাসের ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগের সভাপতির কাছে প্রমাণসহ প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার এক লিখিত অভিযোগ জমা দেন তারা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর এক জরুরি সভায় ড. সুজন সেনকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তার অনিয়ম ও দূর্নীতি তদন্তে ১৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।