রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। হল প্রশাসন বলছে জ্যেষ্ঠতা ও ফলাফলের ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাংশের দাবি আসন বরাদ্দে সঠিক নিয়ম পর্যালোচনা করা হয়নি।
গতকাল রোববার (২৭অক্টোবর) আবাসিকতার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি আসন বন্টনের ক্ষেত্রে রেজাল্টের পরিবর্তে বয়োজ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এছাড়াও ২০২২-২০২৩ শিক্ষার্বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী আসন পাওয়ায় অনেকে অনিয়মের অভিযোগ তুলছে। হল প্রশাসন বলছেন, তারা অস্বচ্ছলতা ও বয়োজ্যেষ্ঠতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তারপরও আগামীতে আরও ভালোভাবে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন তারা।
আসন বন্টনের বিষয়ে গাজি ফেরদৌস হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সব ডিপার্টমেন্টে সিজিপিএ এতো বেশি উঠেনা। কিছু ডিপার্টমেন্ট আছে যাদের রেজাল্ট অনেক ভালো হয়। আবার অনেক ডিপার্টমেন্ট সিজিপিএ ৩.০০ তুলাই অনেক কঠিন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে হলের সিট বন্টন হচ্ছে রেজাল্টের ভিত্তিতে যা বৈষম্যের সৃষ্টি করতেছে। অথচ হলের সিট বন্টন করা উচিত ছিলো সিনিয়রিটির ভিত্তিতে এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে।
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আসন পাওয়ার বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহমুদুল হক বলেন, আসন বরাদ্দে ভিসি স্যারের নির্দেশনা ছিলো, যারা খুবই হতদরিদ্র, তাদেরকে যেন একটু বিশেষভাবে বিবেচনা করতে । এদিক বিবেচনায় কিছু শিক্ষার্থী আসন পেয়েছে।