বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি তাদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং অবসরকালীন সুবিধা দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিল ঢাকা শাখার সভাপতি নাজমুল হাসান অপু বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। ৯০টির বেশি বৈঠক করেও কোনো সমাধান পাইনি। আমরা দাবি পূরণের বিষয়ে অনড়। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। তবে আলোচনার পথও খোলা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণকে কষ্ট দিতে চাই না, কিন্তু আমাদের রুটি-রুজির বিষয় এটি। সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি পূরণ করলে ট্রেন চলাচল আবার শুরু হবে।”
রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগ চলছে। এরইমধ্যে রানিং অ্যালাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং মাইলেজ অ্যালাউন্স পাওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তবে বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
সোমবার রাতে কমলাপুরে আন্দোলনকারী রানিং স্টাফদের সঙ্গে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বৈঠক করলেও কোনো সমাধান আসেনি। বৈঠকের পর বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. সাইদুর রহমান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে রেল চলাচল অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, যা যাত্রীদের চরম ভোগান্তির কারণ হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে তাদের দাবিগুলো পূরণে আন্তরিক।”
মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে যে রানিং স্টাফরা যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি বিবেচনায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে।