কয়েক মাস আগে ঢাকা যাওয়ার পথে ভাটিয়াপাড়ার দিকে মহাসড়কের পাশের নামকরা পেট্রোল পাম্পটির সাথেই যে ছিমছাম
রেস্তোরাঁটি আছে;– সেখানে বসে যাত্রাবিরতির ফাঁকে মধ্যাহ্নভোজের সময় দেখেছিলাম আমি
কীভাবে মহাসড়কটির বিটুমিনরা পুড়ছে ভাদ্রের রৌদ্রে!
তখন হঠাৎ আমার মনে হয়েছিল– এযাবৎকাল শত দুঃসহ দুঃস্বপ্নের
হাতছানিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে
আমি যেন ছুটে চলেছি এমনই এক বিস্মৃতির মহাসড়কের ওপর দিয়ে
যার বিটুমিন রৌদ্রে পুড়ে উৎকট গন্ধ বিস্তৃত করে শুধু ক্ষণে ক্ষণে
এবং সেই মহাসড়কের ওপর দিয়ে মাইলকে মাইল বেগে ছুটে চলে কত সহস্র হালকা ও ভারি যান আমারই সাথে
আর তাতে কত রকমের মানুষ ও মাল-সরঞ্জাম কাঁপতে থাকে অনবরত;
অথচ আমি যেন অকম্পিতই থাকি কোনো এক দৈব কারণে!
আসলে যখন বাম নিলয়ে জন্ম নেয়
নতুন সূর্যোদয়ের স্বপ্ন, তখন
মেকি আবেগেরা চায় গৃহবন্দী হয়ে থাকতে!
কেননা মেকি আবেগের ওপর
প্রতিষ্ঠিত নিয়ন্ত্রণই
সফলতা লাভের প্রথম সোপান!
ক্রমাগত বর্ধিঞ্চু কোলাহলের মাঝেই
যেন তাই আমার আত্মা বোহেমিয়ান
হয়ে ঘুরে বেড়াতে চায় কোনো এক
পবিত্র রাতের প্রতীক্ষায়;–
যে রাতে কোনো এক সুপুরুষ
আসঙ্গলিপ্সায় মত্ত যুবতীর সামনেও তার আবেগকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে
বলে ওঠে—
“যাও, আজ সব অভিমানকে দিলাম ডুবিয়ে,
শত শত মাইল বেগে সব অভিযোগকে দিলাম উড়িয়ে!
শুধু তোমার স্বপ্নপূরণের হলুদ আঙিনায়
বেড়ে উঠুক একটি সুস্থ ক্রিসেনথিমাম
আমার বিবেকের মতো করেই–
বেড়ে উঠুক সে অন্য কোনো এক বসন্তের
অভিমানী এক পবিত্র প্রহরে, কিন্তু আজ, এই প্রহরে নয়!”