১০ দিন যাবৎ লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ঘন্টা ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর ব্যানারে ড. এম ওয়াজেদ ভবনের নিচে। ড.মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের পাশে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে হাবিপ্রবির কর্মচারীরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশব্যাপী চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি । তারই ধারাবাহিকতায় হাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন। যার ফলে সকল ক্লাস,পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
উপরিউক্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি , হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ সহ সকল শিক্ষকবৃন্দ ।
কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন হওয়া সত্বেও কোনো সঠিক সমাধান হয়নি।এরই প্রেক্ষিতে আমাদের জাতীয় অধ্যাপকেরা এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ গোলটেবিল বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকে তারা যে সিদ্ধান্ত দিবেন এবং যে কর্মসূচি দিবেন আমরা সেই অনুযায়ী আগাবো। তবে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ফেডারেশন থেকে কঠোর কর্মসূচি আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরাও সেই কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।কিন্তু আমরা চাই আমাদের কঠোর কর্মসূচি গোষণার পূর্বেই যেনো সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যায়। আমাদের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি হচ্ছে যেটি আমরা চাই না।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।বন্ধ ছিল দাপ্তরিক কার্যক্রমও। তবে খোলা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এবং স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল।
এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। তারা মনে করছেন এমন কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি দীর্ঘদিন চললে সেশনজট বৃদ্ধি হতে পারে।তবে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তারা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়।আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেনো সেশনজটের কবলে না পড়ি।কিছু কিছু শিক্ষার্থী এখনও বাড়িতেই রয়ে গেছে।