বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রসৈনিক, ঘোষণা করেছে যে সংগঠনের নেতৃত্বে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা আসবেন, এবং যারা ছাত্রত্ব হারিয়েছেন, তারা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। ছাত্রদল তার আগামী রাজনীতিতে ছাত্রদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে, এবং ছাত্ররাজনীতির ঐতিহ্যবাহী ধারার বাইরে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করবে।
আজ, ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা এই বক্তব্য দিয়েছেন। ১৯৭৯ সালে, ১ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি—এই তিন মূলনীতি ধারণ করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৬ বছরের পথচলায় ছাত্রদল অনেক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, বিশেষত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনে। এ সময় ছাত্রলীগের আক্রমণের কারণে গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি পরিচালনায় বাধা এসেছে বলে ছাত্রদলের দাবি।
এদিকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদল বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিটগুলোর কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, রক্তদান কর্মসূচি এবং আলোচনা সভা। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই দিন, বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
২ জানুয়ারি, রাজধানীর গুলিস্তান স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় সংসদের আটটি দলের মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে, এবং সারা দেশে অন্যান্য খেলা যেমন ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবা ইত্যাদির আয়োজন করা হবে।