কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জেরে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী ক্যাম্পাস ছাত্রশিবিরের নেতা ফজলে রাব্বি আক্রান্ত হন। হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। আসামীরা হলেন— ফজলে রাব্বি, জুনায়েদ আহম্মেদ মামুন, সামি শিকদার, সাজ্জাদ, নাহিয়ান, রাশেদ আহম্মেদ, নাবিউল ও মাহফুজ।
এদের মধ্যে প্রধান আসামী রাব্বি সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং মামুন মাদ্রাসার আলিম ছাত্র ও ছাত্রদল কর্মী। অন্যান্য আসামিরাও ছাত্রদল কর্মী হিসেবে পরিচিত। মামলাটি ২১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গি পূর্ব থানায় দায়ের করা হয় এবং পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনা অনুযায়ী, ফজলে রাব্বি সম্প্রতি কুয়েটের ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যা ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এর পর, ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাকে ফোন করে একটি সিএনজি পাম্পে যেতে বলা হয়। অস্বীকৃতি জানালে তাকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়। পরে সেখানে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধরে নেয়া হয় এবং মারধর করা হয়।
ফজলে রাব্বি অভিযোগ করেছেন যে, তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়, কিল-ঘুষি মারা হয় এবং সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হয়। একপর্যায়ে, ছুরি দিয়ে তার মাথার পেছনে আঘাত করা হয় এবং ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। হামলাকারীরা পরে তার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
স্থানীয়রা হামলাকারীদের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে, এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে পুলিশের গাড়ি আটকানোর মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও তার সহযোগীরা ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।