রুশাইদ আহমেদ: অনেকেই বিশ্বাস করেন যে শিশুর মাথার সব চুল ফেলে দিলে, তার নতুন চুল ঘন ও মোটা হয়। এটি একটি প্রচলিত ধারণা, যা বহু সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু আসলেই শিশুদের সব চুল ফেলে দিলে, নতুন চুল গজানোর সময় সংখ্যায় ঘন হয়?
চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল সত্যি!…
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, চুলের গঠন, রঙ ও ঘনত্ব নির্ভর করে মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যের ওপর। নবজাতকের চুল সাধারণত নরম ও পাতলা হয়, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথা ন্যাড়া করলে চুলের প্রকৃতি বা ঘনত্বে কোনো পরিবর্তন আসে না। ন্যাড়া করার ফলে নতুন চুল একসঙ্গে গজায়, যা সাময়িকভাবে ঘন দেখাতে পারে, কিন্তু এটি চুলের প্রকৃত গুণমানের কোনো পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম নয়।
শিশুদের চুল সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ঘন হতে শুরু করে। অনেক অভিভাবক ঐতিহ্যগতভাবে সন্তানকে ন্যাড়া করান, যা ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক কারণে হয়ে থাকে। তবে এটি চুলের গুণগত মান উন্নত করে না। বরং শিশুর চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া, পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা ও নিয়মিত স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
অবশ্য শিশুদের মাথার সব চুল ফেলে দেওয়া কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সহজে শিশুর মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং গরমের সময় আরামদায়ক অনুভূতির সঞ্চার করার কথা।
তবে এটি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে না বা চুলের গঠন পরিবর্তন করে না। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুর চুলের যত্ন নেওয়ার প্রতি মনোযোগ দেওয়া, কারণ স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।