গুম ও গণহত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে, জুলাই-আগস্ট মাসে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ৭৫ জন এবং গুমের ঘটনায় যুক্ত ২২ জন রয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, যা ভারতকে জানানো হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা বুধবার থেকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার তথ্য পাবেন। এটি প্রবাসীদের হয়রানি কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমআরপি ছাপানোর অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার প্রবাসীর মধ্যে গত তিন সপ্তাহে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৪৫টি পাসপোর্ট দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে, যা শিগগিরই বিতরণ শুরু হবে।
দেশে পাসপোর্ট পেতে প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, দালাল মুক্ত পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে গড়ে ওঠা দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা আবেদনকারীদের সাহায্য করবে।
শিশুদের পিতামাতার জন্মসনদ অনলাইনে না থাকায় পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এটি জাতীয়তা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছে। যদিও এতে কিছু মানুষের হয়রানি হয়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে করা হচ্ছে।