বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে ভারতের পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। তার দাবি, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনে দেশের জনগণ চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চরে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের আড়ালে মেধাবী সেনাদের হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়া, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। এসব কর্মকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার দুঃসাহস বেড়ে যায়, এবং পরে যে কোনো আন্দোলনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের গুম ও খুন করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে, ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট সেই সরকারের পতন ঘটে।”
তিনি আরও জানান, গণ অধিকার পরিষদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছি, যেখানে নতুন নেতৃত্ব ও নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। পুরনো রাজনৈতিক দলের শাসনব্যবস্থা জনগণ পর্যাপ্তভাবে দেখেছে। আমাদের লক্ষ্য টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, যাতে আর কেউ জীবন দিতে না হয়।”
নুরুল হক নুর বলেন, “দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আমলনামা খুব একটা ভালো নয়। পুরনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, হুন্ডাবাহিনী ও গুন্ডাবাহিনী যদি আবার নির্বাচিত হয়ে আসে, তাহলে দেশের জন্য তা সুখবর হবে না। এখন পরিবর্তনের সময় এসেছে, জনগণের হাতে ক্ষমতা রয়েছে। জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বিগত সরকারগুলো পুলিশ-প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। জনগণকে জিম্মি হওয়ার অবস্থা থেকে মুক্ত করতে রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন। একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে, তবে আরেকটি ফ্যাসিবাদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আগামীর রাষ্ট্রনীতিতে তরুণদের অগ্রাধিকার ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”