১.
অনাদি কাল ধরে
যারা ছড়িয়েছে মায়া
কেন বাড়ে তাদের ক্রোধ
দেখে আমার কায়া?
২.
মত আর পথের বিরোধ
যত আনে জোয়ার;
পালায় শকুনেরা,
মুক্ত হয় খোঁয়াড়!
৩.
লোভনীয় ঠোঁট আর
উন্নত বুক
ডেকে আনে উন্মাদ
কবিদের অসুখ!
৪.
গালিবের শরাব আর
শাহনামার চেতনা—
রুশুকে ছুঁতে গিয়েও
কেন যে পারে না!
৫.
আমার সংজ্ঞা তো
আমি নিজেই পাই না খুঁজে।
বুদ্ধিজীবীর মতো তোমরা
কী যে নাও বুঝে!…
৬.
কালোত্তীর্ণ স্রোত
কখনো ফিরে আসে না।
ছেড়ে যাওয়া প্রেমিককে
কেউ ভালোবাসে না!
৭.
হৃদয় নিংড়ে বের হয়
যত জীবনের রস—
স্মৃতি আর আবেগ সব
করে নেয় বশ!
৮.
বদ্বীপের ভূগোলে শুধু
ঢেউয়ের পর ঢেউ
বয়ে যায়, বয়ে যায়—
রোখে না তো কেউ!
৯.
হলদে পাণ্ডুলিপির
নিশ্চুপ অক্ষর
কী যে বলতে চায়;
নেই কোনো স্বাক্ষর!
১০.
দেয়ালের কান থাকে;
জানালারও চোখ।
আকাশ দেখার আগে
জেনে নাও শোক!
১১.
সবাই গড়তে চায়
কামের কলেবর;
‘ভালোবাসি’ বললেই
লাল হয় অধর!
১২.
চুপিচুপি বিষাদ আমার
ফুঁসে ফুঁসে ওঠে
প্রতিশোধের আশায়
দিগ্বিদিক ছোটে!
১৩.
হৃদয় টুকরা হয়
আঁতশ কাঁচের মতন,
যেন শৈশবে দেখা
আমার খুদে স্বপন!
১৪.
রীতি-নীতির মিছিল
সব উৎরে গেলে
সংগ্রামের সংজ্ঞাও কি
যায় না বদলে?
১৫.
উত্তুঙ্গ রোদে ওড়া
সব সাহসী ঈগল—
ডানার গতিতে ছিঁড়ে ফেলে
নিরাক আগল!
১৬.
কাইজেলিয়ার মতো তাই
ভাবনার শাখা
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে:
রুশু, কিছু শেখা!
১৭.
ডুবে যায় দিনমান
ডোবে বিভাবরী:
ধীরে ধীরে হয়ে যায়
তোমার সব আশা চুরি!
১৮.
তোমার জন্য কিছু
শ্লোক করলাম উৎসর্গ
বিনিময়ে কেড়ে নিলে
তুমি আমার স্বপ্ন!
১৯.
দুনিয়ার রূপ আসলে
কুটিল ও বিচিত্রা!
তুমি সুখনিদ্রায় অথচ
আমার ঘুম লাপাত্তা!
২০.
ভেবো না মিথ্যের মঞ্জিলে
হবে তুমি একাই রানি!
জেনো সত্যেরও কেউ থাকে—
তোমার বাড়বে গ্লানি!
২১.
মধ্যাহ্নের আকাশে
ভারী কালো মেঘ
মধ্যরাতের মতো
ঝরাবে আবেগ!
২২.
স্বপ্নভাঙা হাতে ছিঁড়ে
প্রণয়ের প্রাচীন প্রথা
আকাশের আঁধারে মেশে
আমার নীরব ব্যথা!
২৩.
জমে থাকা অভিমানে
জ্বলে নীরব আগুন!
স্বপ্নের ধূলিঝড়ে
উড়ে যায় ফাগুন!
২৪.
তাই মাঝরাতে তোমার
সুখনিদ্রার মাঝে
আসব দুঃস্বপ্ন হয়ে
তোমার হৃৎপিণ্ড দোলাতে!