প্রায় এক যুগ পর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, “সংস্কার ছাড়া কোনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “আমরা ইসিকে ২৩টি দাবির তালিকা উপস্থাপন করেছি। বিশেষ করে, সংস্কার না করলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। আমরা প্রয়োজনীয় সময় দিতে প্রস্তুত।”
পরওয়ার আরও বলেন, “আমরা চাই, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারকে সচল করতে জনগণের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা হোক এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে স্পষ্ট মত প্রকাশ করেছি। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত আইন বিধি অত্যন্ত কঠোর, যা বাতিল করা উচিত, কারণ সকলের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে।”
তিনি জানান, “জামায়াত বর্তমানে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং প্রার্থী নির্বাচন ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে, জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়টি এখনও আদালতে পেন্ডিং রয়েছে; আমরা আশা করি ন্যায়বিচার পাব এবং উপযুক্ত প্রতীক প্রদান করা হবে।”
এই বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নেতৃত্বে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস.এম. কামাল উদ্দীন এবং সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম. নাসির উদ্দিন, চারজন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমদ, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।