গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সেই শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার। ‘সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিনের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি জাতীয় অনলাইন প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে অভিযুক্ত শিক্ষক এ হুমকি দেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিউজ লিংকের কমেন্টে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, ‘প্রমাণবিহীন নিউজ করতে থাক। ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য আবেদন করবো। কেউ আইনের উর্দ্ধে (উর্ধ্বে) না।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ফেসবুকে পোস্ট মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করার বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হুমকির বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক তানভীর আনজুম বলেন, গতকাল সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের করা অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি। সংবাদ করার পক্ষে সব প্রমাণাদি আমার কাছে রয়েছে। শিক্ষকের থেকে এমন মন্তব্য কখনো আশা করি নি।
এদিকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকে পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজসহ নানা ঘটনায় ২০১৯ সালে ৭১ তম বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার। এরপর থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে গালিগালাজসহ পোস্ট দিতে থাকেন তিনি। ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট চোর’ সহ নানা কটুক্তি করায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা
এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে আবু সালেহ সেকেন্দারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে লিখিত অভিযোগ দেয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল। শিক্ষক সমিতিও সেকান্দারের ফেসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে।