পাঁচ দফা দাবির ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার অধস্তন আদালতের কর্মচারীরা সোমবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় গঠন, জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা, স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নসহ দাবিগুলো বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
যশোরে, জেলা জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রায় ২০০ কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বারবার দাবি জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ঝিনাইদহে, আদালত চত্বরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করেন সহায়ক কর্মচারীরা। সংগঠনের নেতারা জানান, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। মাদারীপুরে, সমাবেশে বক্তারা জুডিশিয়াল সার্ভিস স্কেলে বেতন নিশ্চিত, ব্লকপদ বিলুপ্ত করে পদোন্নতির সুযোগসহ স্বতন্ত্র নিয়োগবিধির দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
নেত্রকোনায়, কর্মচারীরা জেলা জজ আদালতের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। আইনজীবীরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে, পদোন্নতি ও উপযুক্ত পদ সৃজনের দাবি জানানো হয়। অনেক কর্মচারী দীর্ঘ চাকরিজীবনেও পদোন্নতির সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ তোলেন।
বান্দরবানে, দুই দফা দাবিতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করা হয়। গোপালগঞ্জে, কর্মবিরতি শেষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন একই পদে থেকে পদোন্নতি না পাওয়া বৈষম্যের শামিল।
বাগেরহাটে, সকালবেলায় কর্মবিরতি চলাকালে আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে, সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
রাঙ্গামাটিতে, বক্তারা বলেন, তারা বিচার বিভাগে কাজ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় ‘দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে’ পড়ছেন। এতে অভিভাবকহীনতা অনুভব করছেন তারা।
মেহেরপুরে, আদালত চত্বরে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে অংশ নেন আদালতের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা।
সারাদেশে একযোগে পালিত এই কর্মসূচি দাবি বাস্তবায়নে আদালত কর্মচারীদের ঐক্য ও অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। নেতারা দাবি না মানলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়েছেন।